Stages of Startup Funding Explained for Beginners

Stages of Startup Funding Explained for Beginners

Startup এবং Startup Funding নিয়ে এখন অনেক আলোচনা চলছে। এইসব নিয়ে আলোচনার সময় এমন কিছু টার্মস চলে আসে যেগুলো আসলে সাধারণ মানুষের জন্য বুঝতে কিছুটা অসুবিধে হয়। এই ব্লগে আমি আলোচনা করবো, Startup জিনিষটা আসলে কি, Startup Funding এর কি কি ধাপ আছে এবং কোন কোন ধাপে কি কি ক্রাইটেরিয়া থাকে।

What is a startup?

Startup হলো সেই কোম্পানি যেটা এখনো প্রাইমারি ডেভেলপমেন্ট স্টেজে আছে। উদ্যোক্তারা Startup শুরু করেন মূলত কোনো স্পেসিফিক প্রবলেম সলভ করার জন্য। প্রাইমারি স্টেজে এটা high-cost, low-revenue মডেলে চলার কারণে উদ্যোক্তাদের বাইরের ইনভেস্টরদের ফান্ডিং দরকার পরে যেন একটা পর্যায়ে যেয়ে তাঁরা প্রফিট শুরু করতে পারে। রেগুলার বিজনেস থেকে Startup গুলোতে রিস্ক অনেক বেশি থাকে। আবার যথাযথ বিনিয়োগ এবং সুযোগ পেলে এদের গ্রোথ রেটও অনেক বেশি হয়।

Startup Funding Stages

স্টার্টাপ কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ব্যাক্তি বা ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির কাছে ফান্ডের জন্য যায়, যেন তাঁরা তাঁদের কোম্পানি বড় করতে পারে। ইনভেস্টররা এই ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগের সময় লং টার্ম চিন্তা ভাবনা নিয়ে বিনিয়োগ করেন এবং তাঁদের প্ল্যান থাকে যে তাঁদের বিনিয়োগ করা টাকার কয়েকগুণ তাঁরা লং টার্মে তুলে নিবেন। বিনিয়োগ করা টাকার অঙ্কের উপরে নির্ভর করবে যে বিনিয়োগ করা ব্যাক্তি বা কোম্পানি কি সেই Startup এর বিজনেস ডিসিশন মেকিং এ থাকবেন কিনা।

7 Stages of Startup Funding

1. Pre-Seed Funding: The bootstrapping stage

এটা মূলত একটা স্টার্টাপ শুরু হওয়ার সময়কার রিসার্চ স্টেজ। এই Pre-Seed stage এ কিছু গুরুত্বপুর্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে-

১। আপনার বিজনেস আইডিয়াটা টেকসই (viable) কিনা?
২। এই আইডিয়ার উপরে আগে কোথাও কাজ হয়েছে কিনা? হলে সেটার আউটকাম কেমন এসেছে।
৩। এই আইডিয়াকে বিজনেসে নিয়ে যেতে কেমন টাকা লাগতে পারে?
৪। বিজনেস মডেল এবং রেভিনিউ মডেল কি হবে?
৫। আইডিয়ার বাস্তবায়ন কিভাবে শুরু হবে?

Pre-seed Funding Stage কে মূলত bootstrapping বলে। সোজা বাংলায় এর মানে হচ্ছে, নিজের, নিজ পরিবারের বা বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় বিজনেস বড় করার চেষ্টা করা হয়। এই স্টেজে সাধারণত স্টার্টাপের মূল্য ধরা হয় ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার মধ্যে। দরকারি পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট, লিগ্যাল কাগজপত্র, কপিরাইট এগুলো এই স্টেজে করে ফেলাই উত্তম।

2. Seed Funding: Product development stage

এই স্টেজে আসা মানে হচ্ছে, আপনি আপনার আইডিয়াকে বিজনেসে রুপান্তর করতে সক্ষম হয়েছেন এবং আপনার কিছু কাস্টমার তৈরি হয়েছে যারা টাকা দিয়ে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কিনছে (Customer Traction)। এই স্টেজে ইনভেস্টরদের থেকে ফান্ড পেতে আপনার কোম্পানির কিছু শেয়ার (equity) ইনভেস্টরকে দিতে হবে। ইকুইটির বিনিময়ে এই বিনিয়োগকারী আপনাকে যেই টাকা দিবেন সেটা এই স্টেজে মূলত কয়েকটা জায়গায় খরচ হয়-

১। সম্ভবনাময় মার্কেটে প্রোডাক্ট লঞ্চ করা
২। প্রোডাক্টের মার্কেটিং করা
৩। দরকারী জায়গাগুলোতে লোক নেয়া
৪। আপনার প্রোডাক্ট আসলেই মার্কেটের উপযোগী (Product-Market Fit) কিনা সেটা নিয়ে আরও গবেষণা করা

যে স্টার্টাপের ভ্যালু ১০ কোটি থেকে ৬০ কোটি টাকার মধ্যে তাঁরা এই স্টেজে এসে ইনভেস্টরদের টাকা উঠানোর যোগ্য মনে করা হয়। মোটামুটি ৫০ লক্ষ থেকে ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত ফান্ড তোলার টার্গেট করা হয় এই স্টেজে। এই সময়টায় সব জায়গায় দক্ষ লোক নিয়োগ দেয়াটা খুবই গুরুত্বপুর্ন কারণ এই লোকগুলোই লং টার্মে আপনার স্টার্টাপ বড় করতে সবচেয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখবে।

3. Series A Funding: First round of VC

Venture Capital দের কাছ থেকে টাকা নেয়া শুরু হয় এই স্টেজে এসে। টাকার বিনিময়ে কোম্পানির শেয়ার অফার করা হয়। এই স্টেজে অবশ্যই আপনার কোম্পানির একটা রেভিনিউ ফ্লো থাকতে হবে, অর্থাৎ আপনার প্রোডাক্টের রেগুলার কাস্টমার থাকতে হবে।

এই সিরিজে যারা ফান্ডিং করে, তাঁরা যে অস্থির কোনো আইডিয়া চাচ্ছে ব্যাপারটা এমন না। তাঁরা আপনার কাছে মূলত একটা সলিড বিজনেস স্ট্র্যাটেজি চাচ্ছে, যেটার মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের টাকার কয়েকগুন রিটার্ন আনতে পারবে। এই ইনভেস্টরদের কাছে যাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু জিনিষ নিশ্চিত করতে হবে-

১। আপনার প্রোডাক্টকে কিভাবে আরও বেটার করা যায় সেই প্ল্যানিং থাকা লাগবে,
২। আর্থিক ক্ষতির জায়গাগুলো কিভাবে কমিয়ে এনে কোম্পানিকে লাভজনক করা যায় সেই প্ল্যানিং থাকা লাগবে,
৩। বিজনেস গ্রোথের সলিড স্ট্র্যটেজি থাকা লাগবে

সিরিজ এ তে সাধারণত কোম্পানির ভ্যালু ধরা হয় ৭৫ কোটি টাকা থেকে ২৫০ কোটি টাকার মধ্যে। এই স্টেজে ৩০-১০-২ একটা রুল ফলো করা হয়। অর্থাৎ আপনি ৩০ জন পটেনশিয়াল ইনভেস্টরকে এপ্রোচ করবেন, এর মধ্যে হয়ত ১০ জন আগ্রহ দেখাবে, আর তাঁর মধ্যে ২ জনের কাছ থেকে আপনি ফান্ডিং পাবেন।

4. Series B Funding: Second round of VC

এই স্টেজে এসে আপনার স্টার্টাপ কোম্পানির একটা লয়াল কাস্টমার বেজ দাঁড়িয়ে গেছে। এই কাস্টমারদের কল্যাণে আপনার কোম্পানির একটা স্টেবল রেভিনিউ জেনারেট হচ্ছে। অর্থাৎ এই স্টেজে আপনি জানেন কিভাবে আপনি অনেক দ্রুততার সাথে বিজনেস বড় করতে পারবেন। এখন ইনভেস্টরদের কাছে আপনার চাওয়া-

১। মার্কেট রিচ বাড়ানোতে সহায়তা,
২। মার্কেট শেয়ার বাড়ানোতে সহায়তা,
৩। বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং মার্কেটিং এ হেভি ইনভেস্টমেন্ট এবং মেন্টরিং

সিরিজ বি তে সাধারণত কোম্পানির ভ্যালু ধরা হয় ২৫০ কোটি টাকা থেকে ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে। মোটামুটি ২০০-২৫০ কোটি টাকা তোলার টার্গেট থাকে এই স্টেজে। এই স্টেজে যারা বিনিয়োগ করেন, তাঁরা আগের স্টেজের বিনিয়োগকারীদের থেকে একটু এডভান্সড এবং তাঁদের কানেকশন ও মেন্টরিং দিয়ে অনেক হেল্প করতে পারেন।

5. Series C Funding: Third round of VC

সিরিজ সি তে আসা কোম্পানি তাঁর গ্রোথ রেট খুব ভালো ভাবে মেইন্টেইন করে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক ক্ষেত্রেই দেশের গন্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও বিজনেস নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করে। এই ধাপে ইনভেস্টরদেরকে কনভিন্স করতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। কারণ ইনভেস্টরদের কাছে বিজনেস ইতিমধ্যেই প্রমানিত সাফল্য দেখাতে পেরেছে। এই স্টেজে ফান্ড উঠানোর মূল লক্ষ্য থাকে-

১। নতুন প্রোডাক্ট তৈরি করা
২। নতুন মার্কেটের কাছে প্রোডাক্ট পৌছানো
৩। একই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকা ছোট স্টার্টাপগুলোকে কিনে নেয়া, যেন এরা ভবিষ্যতে কম্পিটিশন হয়ে উঠতে না পারে।

এই স্টেজে সাধারণত স্টার্টাপের ভ্যালু ধরা হয় ৮০০ থেকে ১২০০ কোটির মধ্যে। ৪০০-৫০০ কোটি টাকা ফান্ডিং আনার চেষ্টা থাকে এই সময়। এই স্টেজে প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম থেকে শুরু করে ব্যাংকগুলোও ইনভেস্ট করে।

6. Series D Funding: Special round of funding

নরমালি স্টার্টাপ কোম্পানিগুলো এই সিরিজে যাওয়ার দরকার পরে না। কোনো স্পেশাল কারণ তৈরি হলে তবেই তাঁরা সিরিজ ডি ফান্ডিঙ্গে যায়। যেমন-

১। কোনো একটা সুযোগ এসেছে এমন যে কোনো ভালো কম্পিটিটর কোম্পানিকে কিনে নেয়ার অথবা তাঁর সাথে এক হয়ে একটা কোম্পানি হওয়ার, তখন সিরিজ ডি ফান্ডিং দরকার পরে
২। সিরিজ সি রাউন্ডে যেসব টার্গেট নেয়া হয়েছিল, তা যদি কোনো কারণে পূরণ না হয়। সেক্ষেত্রে আরও এক রাউন্ড ফান্ড তোলা হয়।

একটা স্টার্টাপ আসলে কয় রাউন্ড ফান্ড তুলবে এটার কোনো নির্দিষ্ট কিছু নেই। তাঁর রেভিনিউ গোল অনুযায়ি সে যত দরকার তত ফান্ডিং রাউন্ড করতে পারে। সিরিজ ডি তে সাধারণত কোম্পানির ভ্যালু ধরা হয় ১২০০ থেকে ২৫০০ কোটির মধ্যে। ৮০০-১০০০ কোটি টাকা তোলার টার্গেট থাকে এই রাউন্ডে।

7. Initial Public Offering (IPO)

IPO কে একটা স্টার্টাপ কোম্পানি সফলতার চুড়ান্ত মাপকাঠি ধরা হয়। এটার মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার প্রথমবারের মত সাধারণ পাবলিকের কাছে বিক্রি করা হয়। অর্থাৎ এটা একটা পাবলিক কোম্পানিতে পরিণত হয়।

আইপিও’র মাধ্যমে কোম্পানি আরও বড় করার জন্য আমজনতার কাছ থেকে ফান্ড রেইজ করা হয়। আবার এর মাধ্যমে স্টার্টাপে আসল মালিকরা তাঁদের কিছু শেয়ার বিক্রি করতে পারেন তাঁদের পার্সোনাল ইনকামের জন্য।

আইপিও’তে যাওয়ার ফলে কোম্পানি ফান্ড তোলা ছাড়াও আরও কিছু সুবিধা পায়-

১। একটা পাবলিক কোম্পানি সেকেন্ডারি অফারিং এর মাধ্যমে আরও টাকা তুলতে পারে মার্কেট থেকে
২। পাবলিক কোম্পানি হওয়ার পরে কোম্পানিগুলো অনেক মেধাবি, হাই প্রোফাইল লোকদের নিতে পারে। কারণ তাঁদের আকর্ষন করতে কোম্পানিগুলো স্টক অফার করে, যেটা অনেক লোভনীয় অফার কারণ এই পাবলিক স্টক যে কোনো সময় বিক্রি করা যায়
৩। অন্য কোনো স্টার্টাপ কেনাটা পাবলিক কোম্পানির জন্য তুলনামূলক সোজা।

Conclusion

স্টার্টাপ ফান্ডিং স্টেজগুলোর মাধ্যমে কোম্পানিওগুলো তাঁদের গ্রোথ রেট বাড়িয়ে নিতে পারে বহুগুনে। তবে প্রতিটা স্টেজে ফান্ডিং নেয়ার সময় অবশ্যই দেখতে হবে যে আপনার কোম্পানি কি ঐ স্টেজের ফান্ডিং নেয়ার মত উপযুক্ত হয়েছে কিনা। কোম্পানি বড় করতে ফান্ডিং যেমন দরকারি, তেমনি প্রিম্যাচিউর ফান্ডিং পেলেও কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *