ChatGPT কি এবং কিভাবে কাজ করে?

ChatGPT কি এবং কিভাবে কাজ করে?

ChatGPT! এই শব্দটা তো আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু আমরা কি জানি ChatGPT আসলে কি জিনিষ? এটা দিয়ে কি কি কাজ করা যায়? এটার সীমাবদ্ধতাই বা কি কি?

এই ব্লগে আমরা এইসব কিছু নিয়েই কথা বলবো। চলুন শুরু করা যাক।

ChatGPT হলো একটি AI chatbot, যার সাথে আপনি humanlike conversational dialogue করতে পারবেন। এই ধরনের AI chatbot কিন্তু আগেও অনেক ছিলো। কিন্তু আগের সব AI chatbot এর সাথে ChatGPT র তফাৎ হলো এটার ক্যাপাসিটি এবং বিশাল ট্রেইনিং ডাটা। যেমন ChatGPT-3 তে ১৭৫ বিলিয়ন প্যারামিটার ব্যবহার করা হয়েছে, যা আপডেট হয়ে ChatGPT-4 এ প্যারামিটার সংখ্যা ১০০ ট্রিলিয়ন। এই বিশাল ট্রেইনিং ডাটা কিন্তু প্রতিনিয়ত আপডেট হচ্ছে এবং এই জন্য এর একুরেসিও প্রতিনিয়তই বাড়ছে।

এবার আসুন দেখে নেয়া যাক ChatGPT কিভাবে আমাদের প্রতিদিনকার কাজগুলো সহজ করে দিতে পারে।
১। খুব দ্রুত আপনার সিভি/রেজুমে এবং কাভার লেটার তৈরি করতে পারবেন।
২। জটিল টপিকের সহজ ব্যক্ষা জানতে পারবেন।
৩। ট্রিকি ম্যাথ প্রবলেম সহজেই সমাধান করতে পারবেন।
৪। প্রোগ্রামিং এর কোড লিখতে পারবেন।
৫। কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারবেন বিভিন্ন ভাষায়।
৬। জব ইন্টারভিউ এর প্রস্তুতি নিতে পারবেন।

এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কাজেই ChatGPT আমাদের জন্য অনেক হেল্পফুল হতে পারে।

এতসব কিছুর পরেও ChatGPT র কিন্তু কিছু লিমিটেশনও আছে। যেমন এটা কিন্তু মাঝে মাঝে ভুল তথ্য দিতে পারে। যদিও ChatGPT র ট্রেইনিং ডাটা অনেক বড়, তাই এটার ভুল হওয়ার হার তুলনামুলক কম। তারপরও ডাবল চেক করে নেয়া ভালো। বিশেষ করে ২০২১ এর পরের যেসব ইভেন্ট, সেসব নিয়ে যেকোনো তথ্য অবশ্যই ডাবল চেক করে নিতে হবে।

ChatGPT আসলে কিভাবে কাজ করে? এই প্রশ্নটা আমাদের মনে নিশ্চয়ই অনেকবার এসেছে।

ChatGPT কে আমরা কমান্ড দেই, যেটাকে বলা হয় prompt। ChatGPT সেই prompt কে বোঝার চেষ্টা করে এবং তাকে যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডাটার মাধ্যমে ট্রেইন করা হয়েছে, সেই ডাটার উপরে ভিত্তি করে বেস্ট আন্সারটা দেয়ার চেষ্টা করে। 

ChatGPT কে কিভাবে ট্রেইন করা হয়েছে, আসুন এটা নিয়ে একটু কথা বলি। GPT-3 কে ৫০০ বিলিয়ন টোকেন দিয়ে ট্রেইন করা হয়েছে। ইংলিশ টেক্সটের ক্ষেত্রে একেকটা টোকেন নরমালি ৪ টা ক্যারেক্টার হয়। অর্থাৎ ১০০ টা টোকেন মোটামুটি ৭৫টা ইংরেজি শব্দ নিয়ে তৈরি।

এই বিশাল পরিমান টোকেন আসলো কোথা থেকে? এগুলো এসেছে বিভিন্ন টপিকের উপরে মানুষেরই লেখা বিভিন্ন বই, আর্টিকেল এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট থেকে। সেই সাথে ওপেন ইন্টারনেট থেকে নেয়া বিশাল তথ্য ভান্ডার তো ছিলই। 

এই বিশাল ডাটাসেট দিয়ে একটা কমপ্লেক্স এলগরিদম তৈরি করা হয়, যেটাকে বলে neural network। এই এলগরিদমটা মানুষের ব্রেইনের মত করে কাজ করে এবং সেভাবে চিন্তা ভাবনা করতে পারে। ঠিক এই কারনেই ChatGPT আমাদের কথার প্যাটার্ন ধরতে পারে এবং সেই অনুযায়ি রেসপন্স করতে পারে। সোজা কথায় বললে Humanlike response করতে পারে। আপনার মনে হবে যে আপনি আপনার কোনো একজন জ্ঞানী বন্ধুর সাথে মন খুলে যেকোনো বিষয়েই কথা বলছেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *