Social Media Guide for Bangladeshi Businesses

Social Media Guide for Bangladeshi Businesses

বাংলাদেশে আমরা যারা ব্যবসা করি, তাঁদের কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ থাকা উচিত, কোন সময়ে এক্টিভ থাকা উচিত, কোন প্ল্যাটফর্মে তাঁদের গোল কি হওয়া উচিত, এইসব কিছু নিয়েই এই ব্লগ।

দুনিয়ায় তো সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের অভাব নাই। মাঝে মাঝে এমন মনে হয়, ঘুম থেকে উঠলেই নতুন একটা হাজির হয় সামনে। কিন্তু সব জায়গাতেই কি আপনার বিজনেসের এক্টিভ থাকা দরকার আছে? কারণ প্রতিটা জায়গায় এক্টিভ থাকলে কন্টেন্টে যে রকম সময় ও শ্রম দেয়া লাগে, তাতে প্রায়োরিটি এবং নিড কে আইডেন্টিফাই করাটা মাস্ট।

আমি আজকে মূলত সেইসব প্ল্যাটফর্ম নিয়ে বলবো, যেগুলোতে আমি মনে করি সব বাংলাদেশি বিজনেসের এক্টিভ থাকা উচিত-

  • Facebook
  • Instagram
  • LinkedIn
  • YouTube
  • Tiktok

এছাড়াও আরও আছে Twitter, Pinterest এর মত প্ল্যাটফর্ম, যেগুলো আপনার যদি ই-কমার্স সাইট থাকে তাহলে গুগল সার্চে আপনাকে এগিয়ে রাখবে কিছুটা। বাট আজকে শুধু উপরের ৫ টা নিয়েই বিস্তারিত বলবো।

Facebook

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুক। প্রথমেই জানা যাক, কেন আপনার বিজনেসের ফেসবুকে থাকা উচিত

  • দেশের ৪ কোটি ৫০ লক্ষের মত মানুষ ফেসবুকে এক্টিভ
  • পুরো দেশের প্রতি ৪ জনের ১ জন মানুষ, ফেসবুকের এড রিচের মধ্যে পরে
  • মোট ইন্টারনেট ইউজারদের ৮৫%ই ফেসবুকে আছেন
  • মোট ইউজারদের ৪০ ভাগের মত মহিলা এবং ৬০ ভাগের মত পুরুষ
  • ৫০% এর মত ফেসবুকে এর ডেইলি ইউজারদের বয়স ২৫-৫০ এর মধ্যে

এবার জানা যাক, ফেসবুকে আপনার বিজনেস এক্টিভ থাকার পেছনে কি কি গোল বা উদ্দেশ্য থাকবে

  1. আপনার বিজনেস কেন্দ্রিক একটা কমিউনিটি তৈরি করা, যারা আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রতি লয়াল থাকবে
  2. আপনার যেকোনো ধরণের কন্টেন্ট প্রমোট করা
  3. আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা অফার রিলেটেড এড দেয়া
  4. আপনার কোম্পানি এবং এটার যেসব নিউজ আপনার কাস্টমারের জানা উচিত, সেগুলো রেগুলার আপডেট করা

ফেসবুকে কখন পোস্ট করবেন, এটা খুব কমন একটা জিজ্ঞাসা থাকে অনেকের।

এটা আসলে নির্ভর করে, আপনার বিজনেস কি এবং আপনার কাস্টমাররা কখন এক্টিভ থাকে তাঁর উপর। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সপ্তাহের শুরুর দিকে এবং শেষের দিকে পোস্ট করলে রিচ বেশি পাওয়া যায়। যেমন, বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সময়টা পোস্ট করার জন্য তুলনামুলক ভালো সময়। তবে অন্য দিন গুলোতেও অন্তত একটা করে পোস্ট ফেসবুকে দেয়া উচিত।

ফেসবুকের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টুলস

  • Facebook Ad: ফেসবুকের নিজস্ব এড নেটওয়ার্ক, যেটার মাধ্যমে ফেসবুক ইউজারদেরকে তাঁদের বয়স, লিঙ্গ, লোকেশন, শখ ইত্যাদির উপরে টার্গেট করে এড চালাতে পারেন।
  • Marketplace: এখানে অনলাইন মারচেন্টরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। এটা B2B, B2C, C2C সব রকম মডেলের জন্যই কার্যকর।
  • Facebook Insight: ফেসবুক পেজ ইনসাইটে যেয়ে আমরা ধারনা পেতে পারি আমাদের পেজের বিভিন্ন পরিসংখ্যান এর উপরে, যেমন like, reach, engagement, responsiveness etc.
  • Facebook Pixel: ফেসবুক এডে যখন Retargeting এড দেয়া হয়, তখন সেটা কেমন পারফরমেন্স করছে, তা জানার জন্য এই এনালাইসিস টুল ব্যবহার করা হয়।
  • Facebook IQ: এই এনালাইসিস টুলের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্কেটিং ইনসাইট পাওয়া যায়, যেগুলো বিজনেস স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপ করতে হেল্প করে।
  • Facebook Ad Library: কোন কোম্পানি ফেসবুকে কি এড চালাচ্ছে, তাঁদের টার্গেটিং কেমন করে করছে, কি ছবি, ভিডিও, ক্যাপশন ইউজ করছে, এসবই আপনি এক ক্লিকেই দেখে নিতে পারেন ফেসবুক এড লাইব্রেরিতে।

ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে কিছু পরামর্শ

  • ভিডিও কন্টেন্টের উপর বেশি জোর দেন। সেটা লাইভ হোক কিংবা রেকর্ডেড। ভিডিওর এঙ্গেজম্যান্ট রেট অন্য যেকোনো কন্টেন্টের চেয়ে বেশি হয় (৮.২৯%)
  • এমন কন্টেন্ট তৈরির চেষ্টা করবেন, যেটায় পেইজ ফলোয়াররা রিয়্যাকশন (লাইক, লাভ, কেয়ার ইত্যাদি) করতে চাইবে
  • পেইড এড টুলের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে, কারণ ফেসবুকের অরগানিক রিচ এখন ২% এরও কম।

Instagram

২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিকে ২০১২ সালে ফেসবুক কিনে নেয়। ছবি এবং ভিডিও বেজড এই সোশ্যাল মিডিয়া তরুণ প্রজন্মের মাঝে তুলনামূলক বেশি জনপ্রিয়। প্রতি মাসে ১০০ কোটির বেশি এক্টিভ ইউজার ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করেন। প্রতিদিন ৫০ কোটি স্টোরি শেয়ার হয় এখানে। এবার জানা যাক, কেন আপনার বিজনেসের এক্টিভ থাকা উচিত ইন্সটাগ্রামে

  • প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশে ইন্সটাগ্রাম ব্যবহার করেন, যেটা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩%
  • ১৮ থেকে ২৪ বছরের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন ইন্সটাগ্রাম, তাই লং টার্ম বায়িং বিহেভিয়ার তৈরি করতে এই প্ল্যাটফর্ম খুবই কার্যকর একটা টুল হতে পারে
  • যদিও বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ইন্সটাগ্রাম মূলত মেয়েরা বেশি চালায়, বাংলাদেশে ইন্সটাগ্রাম ইউজারদের তিন ভাগের দুই ভাগই কিন্ত পুরুষ। তাই ফিউচার ডিশিসন মেকার হিসেবে এদেরকে ইনফ্লুয়েন্স করার প্ল্যান করা যেতে পারে
  • ৯০% ইউজার ব্র্যান্ড একাউন্ট বা ব্র্যান্ড রিলেটেড কন্টেন্ট ফলো করেন

ইন্সটাতে আপনার বিজনেস এক্টিভ থাকার পেছনে কি কি গোল বা উদ্দেশ্য থাকবে

  1. আপনার বিজনেসের ব্র্যান্ডিং করা। আপনার ইন্সটাগ্রাম পেজ যেন এক ঝলকে আপনার বিজনেসের কমপ্লিট পিকচার ভিজিটরদেরকে দিতে পারে
  2. ফলোয়ারদের কাছে প্রোডাক্ট প্রমোট করা
  3. কোম্পানির মানুষদের ব্যাকস্টেজ লাইফ এবং কোম্পানিতে ব্যাকএন্ডে কি কি হচ্ছে তা তুলে ধরা, যেন আপনার কমিউনিটির সাথে একটা ভালো কানেকশন তৈরি করতে পারেন

কখন পোস্ট করবেন ইন্সটাগ্রামে

সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলো ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করার জন্য বেস্ট সময়। অর্থাৎ রবি, সোম, মঙ্গলবারে ইন্সটাগ্রামে এক্টিভ থাকা মাস্ট। বাট, আবারো বলছি এটা আসলে ডিপেন্ড করবে আপনি কি নিয়ে কাজ করছেন এবং আপনার টার্গেট কাস্টমারদের উপরে।

ইন্সটাগ্রামে সাধারণত সকালে, বিকালে এবং সন্ধ্যার দিকের পোস্টগুলো বেশি ইফেক্টিভ হয়। অর্থাৎ সকাল ৭টা থেকে ৯টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

ইন্সটাগ্রামের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টুলস

  • Instagram Shopping : এই টুলের মাধ্যমে ইন্সটাগ্রামের পোস্টে সরাসরি প্রোডাক্ট পেজের লিঙ্ক দিতে পারবেন। তবে প্রোডাক্ট আগে ফেসবুক পেজের শপে এড করতে হবে।
  • Instagram Business : ফেসবুকের মত এটাও ইন্সটাগ্রামের পেইড এড টুল, যেটার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারি।
  • Mojo : এই টুলের মাধ্যমে এনিমেটেড স্টোরি তৈরি করতে পারবেন, যেগুলো আপনার ইন্সটাগ্রাম ফিডকে অনেক ডাইনামিক করে তুলবে।
  • InShot : সহজে ব্যাবহার করার মত একটা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।

ইন্সটাগ্রাম মার্কেটিং নিয়ে কিছু পরামর্শ

  • বিভিন্ন সিচুয়েশনে আপনার প্রোডাক্ট এর কাজ এর ভিডিও করে ইন্সটাগ্রামে দিতে পারেন
  • কোয়ালিটি ছবি এবং ভিডিও ব্যবহার করে আপনার ব্র্যান্ড এর একটা ইউনিক আইডেন্টিটি তৈরি করুন
  • পোস্টে হ্যাশট্যাগ (#) ব্যবহার করুন, যেগুলো পোস্টের সাথে এবং আপনার কোম্পানির সাথে প্রাসঙ্গিক
  • ইন্সটাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে প্রোডাক্ট প্রমোশন করতে পারেন কম সময়ে বড় অডিয়েন্সকে আকর্ষন করতে

LinkedIn

মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটা মূলত প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়। বিজনেস টু বিজনেস সেলারদের কাছেও লিঙ্কডইনের গুরুত্ব অনেক। পুরো পৃথিবীতে প্রায় ৭৫ কোটি মানুষ এটা ইউজ করে। এবার জানা যাক, কেন আপনার বিজনেসের এক্টিভ থাকা উচিত লিঙ্কডইনে

  • বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির টপ থেকে বটম লেভেলের প্রফেশনালরা এখানে এক্টিভ থাকেন নিয়মিত
  • বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ লোক এখানে আছেন, যেটা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩%
  • ২৫ থেকে ৩৪ বছরের তরুনেরা লিঙ্কডইনের মোট ইউজারদের ৬০%
  • মোট ইউজারদের ৬০%ই পুরুষ
  • বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির ডিশিসন মেকারদের এখানে এক জায়গায় পাওয়া যায়, যাদের সাথে কানেক্টেড হয়ে বিজনেস টু বিজনেস ডিল করা সম্ভব

লিঙ্কডইনে আপনার বিজনেস এক্টিভ থাকার পেছনে কি কি গোল বা উদ্দেশ্য থাকবে

  1. বিভিন্ন বিজনেস লিড তৈরি করা এবং নেটওয়ার্কিং করা
  2. কোম্পানির প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস প্রমোট করা
  3. আপনার প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস দেয়ার পেছনে আপনার যেই এক্সপার্টিজ আছে, সেটাকে তুলে ধরা
  4. আপনি যেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেন, সেই ইন্ডাস্ট্রি রিলেটেড নিউজ শেয়ার করা
  5. আপনার কোম্পানি রিলেটেড নিউজ, ব্লগ বা আর্টিকেল শেয়ার করা

কখন পোস্ট করবেন লিঙ্কডইনে

যেহেতু এটা প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং করার জায়গা, তাই রবিবার থেকে বৃহস্পতিবারে লিঙ্কডইন ইউজাররা সবচেয়ে বেশি এক্টিভ থাকেন। অফিস টাইমে কন্টেন্ট শেয়ার করলে কন্টেন্টের রিচ তুলনামূলক ভালো পাওয়া যাবে।

লিঙ্কডইনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টুলস

  • Campaign Manager: লিঙ্কডইনের নিজস্ব এড টুল, যেটার মাধ্যমে মূলত ৪ ধরণের এড ক্যাম্পেইন চালানো যায়।
  • ProspectIn: এটা গুগল ক্রোমের একটা এক্সটেনশন, যেটার মাধ্যমে কোয়ালিটি বিজনেস লিড তৈরি করার ফুল প্রসেসটাকে অটোমেট করা যায়
  • LeadFuze: এটা একটা লিড জেনারেটিং সফটওয়্যার, যেটার মাধ্যমে সহজেই টার্গেটেড লিস্ট তৈরি করতে পারবেন

লিঙ্কডইন মার্কেটিং নিয়ে কিছু পরামর্শ

  • এখানে যেকোনো কন্টেন্ট, হ্যাশট্যাগ করার সময় এক্সট্রা কেয়ারফুল থাকবেন। খেয়াল রাখবেন সেটা যেনো আপনার ইন্ডাস্ট্রি, আপনার ব্র্যান্ড, আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সাথে প্রাসঙ্গিক হয়।
  • ভিডিও এবং ইমেজের উপরে জোর দিবেন বেশি
  • রেগুলার কন্টেন্ট শেয়ার করতে যেয়ে কোয়ালিটি কম্প্রোমাইজ করবেন না। প্রয়োজনে সপ্তাহে ২ টা আপডেট দেন কিন্তু সেগুলো যেন কোয়ালিটি আপডেট হয়।
  • আপনার কোম্পানি বা প্রোডাক্টের আপডেটগুলো গল্পের মত করে শেয়ার করেন, যেন মানুষ আগ্রহ বাড়ে
  • পোস্টে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন লোককে ট্যাগ করবেন

YouTube

ইউটিউবকে আসলে সোশ্যাল মিডিয়া বলা চলে না, এটা মূলত ভিডিও প্ল্যাটফর্ম। গুগলের পরে সবচেয়ে বেশি ভিজিটর এই ওয়েবসাইটের। প্রতি মাসে ২০০ কোটির বেশি মানুষ দুনিয়াজুড়ে ইউটিউব ভিজিট করে। এবার জানা যাক, কেন আপনার বিজনেসের এক্টিভ থাকা উচিত ইউটিউবে

  • প্রতি মিনিটে ৭ লক্ষ ঘন্টা ভিডিও দেখা হয় ইউটিউবে
  • প্রায় ৮০% ইউজারই প্রাপ্তবয়স্ক, যাদের পারচেস ডিশিসনকে ইনফ্লুয়েন্স করা সম্ভব
  • স্পেশালি সচেতনতা তৈরির জন্য ইউটিউব খুব ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম

ইউটিউবে আপনার বিজনেস এক্টিভ থাকার পেছনে কি কি গোল বা উদ্দেশ্য থাকবে

  1. আপনার কোম্পানি এবং প্রোডাক্ট/ সার্ভিসের ব্যাপারে মানুষকে অবহিত করানো
  2. সাবস্ক্রাইবারদের কমিউনিটি তৈরি করা
  3. কাস্টমারদের সাথে বন্ডিং তৈরি করা
  4. কোম্পানি এবং প্রোডাক্টের পেছনের মানুষদের সাথে কমিউনিটির পরিচয় করিয়ে দেয়া

কখন পোস্ট করবেন ইউটিউবে

সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনগুলোতে রাতের বেলায় এবং বন্ধের দিনে যেকোনো সময় ইউটিউবে ভিডিও দেয়ার জন্য ভালো সময়। সাধারণত রাত ৯টা থেকে রাত ১১টায় পোস্ট করলে ভালো রেজাল্ট আসে।

ইউটিউবের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টুলস

  • Youtube Analytics: ইউটিউব স্টুডিওতে এই টুল পাওয়া যায়, যেখানে আপনার চ্যানেলের এক্টিভিটি এবং ভিডিওগুলো নিয়ে বিস্তারিত পরিসংখ্যান পাওয়া যায়।
  • TubeBuddy: এটা একটা পেইড ব্রাউজার এক্সটেনশন, যেটা দিয়ে ভিডিওর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনসহ আরও অনেক কিছু করা যায়।
  • KineMaster: এটা একটা মোবাইল এপ, যেটা দিয়ে খুব সহজে প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করা যায়। পেইড এপ হলেও অনলাইনে এটার ক্র্যাক ভার্শন এভেইলেবল।

ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে কিছু পরামর্শ

  • ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে সিউর হয়ে নেন যে, রেগুলার ভিডিও পাবলিশ করতে পারবেন কিনা। কারণ রেগুলার ভিডিও দিতে না পারলে কমিউনিটি বিল্ড করতে পারবেন না।
  • কোয়ালিটি মেইন্টেইন করে অথেনটিক ভিডিও দেয়ার চেষ্টা করবেন।
  • সম্ভব হলে হাই কোয়ালিটি ভিডিও ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করবেন।
  • যথাযথ কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ভিডিওর টাইটেল, ডেসক্রিপশনে ব্যবহার করবেন।

Tiktok

টিকটক একটা চাইনিজ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম, যেটা ২০১৬ সালে ByteDance নামে একটা কোম্পানির দ্বারা শুরু হয়। টিকটকের মোবাইল এপ এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কোটি বার ডাউনলোড হয়েছে পৃথিবীজুড়ে এবং মোট ইউজারদের ৮০%ই রেগুলার এপ ভিজিট করেন। এবার জানা যাক, কেন আপনার বিজনেসের এক্টিভ থাকা উচিত টিকটকে

  • পুরো পৃথিবীজুড়ে সবচেয়ে ফাস্টেস্ট গ্রোয়িং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
  • ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীরা টিকটকে সবচেয়ে বড় পপুলেশন, প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। তাই লম্বা সময় ধরে ব্র্যান্ড Awareness তৈরি করতে চাইলে টিকটক খুবই ভালো জায়গা হতে পারে
  • ৬০% ইউজার মেয়ে, তাই মেয়েদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোটের জন্য টিকটক পারফেক্ট
  • অর্গানিক রিচ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায়

টিকটকে আপনার বিজনেস এক্টিভ থাকার পেছনে কি কি গোল বা উদ্দেশ্য থাকবে

  1. বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বা কন্টেস্টের মাধ্যমে ইয়াং অডিয়েন্সকে কাছে টানার চেষ্টা করা
  2. ভাইরাল কোনো ক্যাম্পেইন তৈরির চেষ্টা করা, যেন ইয়াং কমিউনিটির সাথে ভালো বন্ডিং তৈরি করা যায়
  3. ক্রিয়েটিভ এবং মজার কন্টেন্ট তৈরি করা
  4. কোম্পানির এবং প্রোডাক্ট এর পেছনের গল্প তুলে ধরা

কখন পোস্ট করবেন টিকটকে

দিনের শেষের দিকে টিকটকে পোস্ট করার জন্য ভালো সময়। বিকেল ৫ টার পরের সময়টায় তরুণ প্রজন্মকে টার্গেট করে পোস্ট করার জন্য বেস্ট টাইম, বিশেষ করে টিনেজারদের জন্য।

টিকটকের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় টুলস

  • TikTok for Business: টিকটকের নিজস্ব এড প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন অবজেক্টিভের জন্য এড তৈরি করতে পারবেন যেমন, More video views, more website visits, or more followers ইত্যাদি।
  • LightMV: ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।
  • BeeCut: ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার।

টিকটক মার্কেটিং নিয়ে কিছু পরামর্শ

  • টিকটকে অনেক ফিচারস আছে, যেগুলো নিয়ে রেগুলার এক্সপেরিমেন্ট করা উচিত। এতে কন্টেন্টে ভ্যারিয়েশন আসবে প্লাস ওভারল ভিজিবিলিটি বাড়বে।
  • টিকটকের ভিডিওগুলো অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও শেয়ার করবেন, যেমন ইউটিউব শর্টস, ইন্সটাগ্রাম রিলস।
  • কন্টেস্ট বা চ্যালেঞ্জ টাইপ জিনিষ তরুণ প্রজন্ম খুব পছন্দ করে। এগুলোর মাধ্যমে একাউন্টের ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন।
  • খুব বেশি সিরিয়াস কন্টেন্ট এখানে না দেয়াই বেটার। কিছুটা ইনফরমাল থাকার চেষ্টা করবেন।

এখনকার সময়ে যেকোনো বিজনেসের সোশ্যাল মিডিয়াতে এক্টিভ থাকাটা মাস্ট। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনলাইনে খুব সহজেই এবং তুলনামুলক অনেক কম খরচে আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ব্যাপারে জানাতে পারবেন অনেক মানুষকে। তবে খেয়াল রাখা লাগবে যেন, আপনার মূল্যবান সময়, অর্থ, শ্রম যেন অহেতুক ব্যয় না হয়। আপনি যেন সেই জায়গাগুলোতেই এক্টিভ থাকেন যেখানে আপনার এক্টিভ থাকা উচিত। আমার এই ব্লগটা আশা করি সেই পারপার সার্ভ করবে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *