How to Measure the Growth of your online business

How to Measure the Growth of your Online Business

একটা অনলাইন বিজনেস দাঁড় করানো অনেক কঠিন একটা কাজ।

নিজে যেহেতু একটা মাল্টি ভেন্ডর ই-কমার্স ওয়েবসাইট দাঁড় করাচ্ছি, Trust Me… I know how hard it is.

সবকিছু যদি ঠিকমত করতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার অনলাইন বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।

আর না হলে নষ্ট হবে মূল্যবান সময়, অর্থ ।

এখন আপনার অনলাইন বিজনেস কি সঠিক পথে আছে কিনা তা জানবেন কিভাবে? আপনি হয়ত ভাবতে পারেন, গত মাসে আমার ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে আর এই মাসে তাঁর থেকে বেশি বিক্রি হলেই আমি সঠিক রাস্তায় আছি।

কিন্তু আরও কিছু গুরুত্বপুর্ন ইন্ডিকেটর আছে, যেগুলোকে Key Performance Indicator (KPI) বলে। কিন্তু এই KPI জিনিষটা আসলে কি?

In simple terms, KPIs provide a way to measure how well companies, business units, projects or individuals are performing in relation to their strategic goals and objectives.

Bernard Marr

অনলাইন বিজনেসগুলোর লং টাইম সাক্সেসের জন্য নিয়মিত এই KPI গুলো মনিটর করা খুবই জরুরী। তাহলে আপনি আপনার বিজনেসকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, কোন কোন জায়গায় ভালো করছেন, কোথায় কোথায় ইম্প্রুভমেন্ট দরকার তা চিহ্নিত করে কাজ করে পারবেন। এছাড়াও আপনি যদি ইনভেস্টরকে পিচ করতে চান, তাহলেও এই KPI গুলোকে ট্র্যাক করতে হবে।

এই ব্লগে আমি তাহলে আসুন দেখা যাক, কি কি গুরুত্বপুর্ন KPI আপনি ট্র্যাক করবেন আপনার অনলাইন বিজনেসের গ্রোথ জানার জন্য-

1. Overall Sales

প্রতি দিনের, সপ্তাহের, মাসের, কোয়ার্টারের (৩ মাসিক) এবং বছরের সেলসের হিসাব থাকা লাগবে। এটা আপনি দুই ভাবে রাখতে পারেন।

ক। যদি আপনার বিজনেস ছোটো হয় এবং আপনি হাতেগোনা অল্প কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন, তাহলে আপনি মনিটর করবেন যে কয় ইউনিট প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে

খ। যদি আপনি অনেক প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন এবং যেকোনো প্রোডাক্ট এর জন্য আপনার ফিক্সড কষ্ট মোটামুটি একই থাকে, তাহলে আপনি মনিটর করবেন যে টোটাল কত টাকা সেল হচ্ছে। অর্থাৎ এই ক্ষেত্রে Gross revenue ট্র্যাক করবেন।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপরের দুইটা মেথডই এপ্লাই করা উচিত। অনেক ক্ষেত্রে একটা নির্দিস্ট সংখ্যক অর্ডার না আসলে বিভিন্ন অফার বা ডিস্কাউন্ট দেয়াটা মুশকিল হয়ে যায়। সেই জন্য কয় ইউনিট প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে এটা জানা খুবই জরুরী। সেই সাথে gross revenue growth জানলে যেটা হয় যে, আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন যে আপনার বিক্রি কি নতুন কাস্টমার আসার কারণে বেড়েছে নাকি পুরনো কাস্টমারই বেশি টাকার অর্ডার করার কারণে বেড়েছে।

2. Net Profit

আপনার টোটাল সেলের টাকা থেকে টোটাল খরচের টাকা বাদ দিলে যেটা থাকে সেটাই হলো Net Profit। কোম্পানির ব্যালেন্স শিট এবং প্রফিট লস স্টেটমেন্ট করার সময় এটা বের করা হয়। আপনার বিজনেসের নেট প্রফিট মার্জিন যদি অন্তত ৭.৫% না হয়, তাহলে এটা বড় ধরনের চিন্তার বিষয় হবে আপনার জন্য।

Net profit বের করা কেন জরুরী? এটার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে, সেল আনার জন্য আপনি যা যা করছেন সেটা আসলেই আপনাকে রেজাল্ট দিচ্ছে কিনা। Net profit জানার পরে আপনার বিভিন্ন রকম মার্কেটিং প্ল্যান সাজাতে সুবিধা হবে যেমন ডিস্কাউন্ট দেয়া, বিভিন্ন অফার দেয়া বা ফ্রি শিপিং অফার করা ইত্যাদি, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আরও কাস্টমার তৈরি করতে পারবেন।

Overall Sales এর মত Net profit এত ঘন ঘন ট্র্যাক করার দরকার নেই। এটা মাসিক, ত্রিমাসিক এবং বার্ষিক ট্র্যাক করলেই এনাফ।

3. Average Order Value (AOV)

Average order value (AOV) হচ্ছে কাস্টমাররা প্রতি অর্ডারে গড়ে যত টাকা খরচ করে। আপনার টোটাল সেলসের টাকাকে টোটাল যতটা অর্ডার এসেছে ঐটা দিয়ে ভাগ করলেই Average order value পেয়ে যাবেন।

Net profit এর মত Average order value ও মাসিক, ত্রিমাসিক এবং বার্ষিক ট্র্যাক করলেই চলবে। AOV বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে প্রতিটা অনলাইন বিজনেসের। ধরেন, আপনার যদি অর্ডারের সংখ্যা না বাড়ে, কিন্তু AOV বাড়ে, তাহলে কিন্তু একই পরিমাণ অর্ডার পেলেও আপনার টোটাল Revenue বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার একই কাস্টমারের কাছ থেকে বেশি টাকার অর্ডার আসলে আপনি তাঁকে বিভিন্ন রকমের অফার দিতে পারবেন, যেটার কারণে আরও কাস্টমার আপনার বিজনেসে কাস্টমার হতে চাইবে। অর্থাৎ Customer acquisition cost কমে আসবে।

4. Number of Orders

কোনো একটা নির্দিস্ট টাইম পিরিয়ডে আপনার কাছে কয়টা অর্ডার আসলো, এটা হচ্ছে Number of Orders। এটা মাসিক, ত্রিমাসিক এবং বার্ষিক ট্র্যাক করলেই চলবে।

এই KPI টা ট্র্যাক করার অন্যতম গুরুত্বপুর্ন কারণ হচ্ছে inventory management। আপনি এটা ট্র্যাক করার মাধ্যমে আপনার কয়টা অর্ডার আসতে পারে এবং এই অর্ডারের প্রোডাক্ট রাখার জন্য কেমন স্পেস লাগতে পারে, এইসব জিনিষ আগেই ধারণা করতে পারবেন। এছাড়াও প্রোডাক্ট এর প্রাইস, কোয়ালিটি বাড়া কমার সাথে বা সিজন চেঞ্জের সাথে আপনার সেল কেমন আপ ডাউন করছে এটা জানার জন্যও Order Number ট্র্যাক করাটা খুবই জরুরী।

==========

উপরের এই ৪ টা KPI সব অনলাইন বিজনেসের রেগুলার মনিটর করা উচিত। এগুলো ছাড়াও আরও কিছু এডভান্সড KPI আছে, যেগুলো চাইলে আপনি ট্র্যাক রাখতে পারেন-

  • Customer Lifetime Value (CLV): এটার মানে হচ্ছে একজন কাস্টমার আপনার সাথে তাঁর পুরো রিলেশনশিপে মোট কত টাকার কেনাকাটা করেছে। এটা যত বেশি হবে, তাঁর মানে আপনি আপনার কাস্টমারদের তত বেশি ধরে রাখতে সক্ষম হচ্ছেন।
  • Customer Retention Rate (CRR): একটা নির্দিস্ট টাইম পিরিয়ডের শুরুতে আপনার যতজন কাস্টমার ছিলো, তাঁর কত পার্সেন্ট ঐ টাইম পিরিয়ডের শেষেও আপনার সাথে আছে, সেটা জানার উপায় হচ্ছে CRR মনিটর করা। এটা জানার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন, যে আপনি আসলে কেমন সার্ভিস দিচ্ছেন কাস্টমারদেরকে এবং তাঁরা কতটা লয়াল থাকছে আপনার প্রতি।

এছাড়াও আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে আরও কিছু জিনিষ আপনাকে অবশ্যই ট্র্যাক করা লাগবে-

  • Website Traffic Volume: একজন অনলাইন বিজনেস মালিকের যদি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে তাঁর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত কিভাবে সে তাঁর ওয়েবসাইটে যত বেশি সম্ভব ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবে। Google Analytics এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এটা মনিটর করা লাগবে।
  • Conversion Rate: আপনার সাইটে অনেক ভিজিটর আসলো কিন্তু তাঁরা কিছুই কিনলো না, তাহলে কিন্তু কোনো লাভ নাই। তাই ভিজিটরদের মধ্যে কত পার্সেন্ট কাস্টমারে কনভার্ট হচ্ছে, এটাও আপনার জানা লাগবে।

আবার ধরেন, আপনি অনলাইনে কোনো একটা সেলস ক্যাম্পেইন করলেন। এখন ক্যাম্পেইন করে আপনার আসলে লাভ হয়েছে কিনা বা কেমন লাভ হয়েছে এটা জানার জন্যও আপনাকে কিছু জিনিষ মনিটর করা লাগবে-

  • Return on Ad Spend (ROAS): কোনো একটা ক্যাম্পেইন থেকে কত টাকা সেল হয়েছে এবং ঐ ক্যাম্পেইনে কত টাকা খরচ হয়েছে এটার অনুপাত হচ্ছে Return on Ad Spend। ধরেন আপনি ফেসবুকে ১০০০ টাকা খরচ করেছেন পেইড এডের জন্য। সেখান থেকে আপনার সেল এসেছে ১০ হাজার টাকা। তাহলে, আপনার Return on Ad Spend হচ্ছে ১০ঃ১।
  • Customer Acquisition Cost (CAC): আপনার ক্যাম্পেইনে যত টাকা খরচ হয়েছে সেই নাম্বারটাকে ক্যাম্পেইনের ফলে যতজন নতুন কাস্টমার তৈরি হলো ঐ নাম্বার দিয়ে ভাগ করলেই আপনি Customer Acquisition Cost পেয়ে যাচ্ছেন। Customer Acquisition Cost যত কম হবে, আপনার প্রফিট তত বেশি হবে।

উপরের এইসব KPI গুলো সঠিকভাবে মনিটর করাটাই আপনার অনলাইন বিজনেসের সাফল্য আর ব্যার্থতার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তাই এই জিনিষগুলোকে আপনার বিজনেস গোলের সাথে এলাইন করে রেগুলার ট্র্যাক করা খুবই গুরুত্বপুর্ন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *